নাইমের জোড়া আঘাতে পর সাকিবের জোড়া আঘাতে লঙ্কানদের ওপর চাপ ফিরিয়ে এনেছে বাংলাদেশ। ইনিংসের ১১৪তম ওভারের প্রথম বলে চান্দিমালকে আউট করার পর পঞ্চম বলে নিরোশান ডিকভেলাকে ঘরে ফেরান নাইম। এর পরেই ১১৬ তম ওবারে সাকিবের
দ্বিতীয় বলে দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে রমেশ মেন্ডিসকে (১) বোল্ড করেছেন সাকিব। পরের বলটিতে তার ঘূর্ণিতে পরাস্ত লাসিথ এম্বুলদেনিয়া। এতে স্বস্তি ফিরেছে মুমিনুলদের মাঝে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৮ উইকেটে ৩৩৫ রান।

এর আগে দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ আর দিনেশ চান্দিমাল বড় জুটিতে বেশ ভুগিয়েছেন বাংলাদেশকে। প্রথম দিনের অপরাজিত দুই ব্যাটার দ্বিতীয় দিনের প্র্রথম সেশনটাও প্রায় কাটিয়ে দিচ্ছিলেন অনায়াসে। অবশেষে ১৩৬ রানের এই জুটিটা ভাঙলেন নাইম হাসান। দিনেশ চান্দিমালকে (৬৬) এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন এই অফস্পিনার। ইনিংসের ১১৪তম ওভারের প্রথম বলে চান্দিমালকে আউট করার পর পঞ্চম বলে দারুণ এক ডেলিভারিতে নিরোশান ডিকভেলাকে (৩) বোল্ড করেছেন নাইম।

প্রথম দিনের প্রথম ও শেষ- দুই সেশনেই দুইটি করে উইকেট নিয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু প্রথম সেশনের পর আসলে সে অর্থে দাপট দেখাতে পারেননি সাকিব আল হাসান, নাইম হাসান, তাইজুল ইসলামরা। প্রথম সেশনে ২ উইকেটে ৭৩, দ্বিতীয় সেশনে বিনা উইকেটে ৮৫ ও শেষ সেশনে ২ উইকেটে ১০০ রান করে শ্রীলঙ্কা। ৪ উইকেটে ২৫৮ রান নিয়ে শেষ করে প্রথম দিন।

চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিে ৪ উইকেটে ২৫৮ রানে দিন শুরু করে সফরকারী দল। ব্যাট করতে নেমে নিজের ব্যক্তিগত ৬৬ রানে নাঈম হাসানের বলে আউট হন দিনেশ চান্দিমাল। এরপরে আবারও শ্রীলঙ্কান শিবিরে আঘাত হানেন নাঈম। নিরোশান ডিকভেলাকেক ফেরান ৩ রানে।

এর আগে প্রথম দিনে বাংলাদেশের হয়ে নাঈম ২টি এবং তাইজুল ও সাকিব ১টি করে উইকেট পান।